বরিশাল নগরীজুড়ে লকডাউন লুকোচুরি

বরিশালে লকডাউনে ৫ দিন। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ ১৮ এপ্রিল রোববার সকাল থেকেই বরিশাল নগরীর বাজারসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো যেনো লুকোচুরি খেলা শুরু করছেন। নগরীতে দোকান খোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন দোকানদার ব্যবসায়ীরা।
দোকান খোলার চেষ্টা আবার ক্রেতা আসলে খুলে ভিতরে বেচাকেনা চলছে নগরীজুড়ে। বরিশাল নগরীর সদর রোড, বাজার রোড, নতুন বাজার, বাংলাবাজার, বটতলা বাজার, চৌমাথা, রূপাতলীসহ সর্বত্র এমন অবস্থা দেখা গেছ। দোকান বন্ধ কিন্তু ভিতরে বেচাকেনা চলছে এবং দোকান খোলার চেষ্টাও দেখা যায়।
সংক্রামণ এড়াতে সরকারের ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিলো। কিন্তু গত ৫ দিনে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে অনেকে। গতকাল রোববার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এবং অলি-গলিতে মানুষের ভীড় দেখা গেছে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে রিক্সা, থ্রি-হুইলার, ব্যক্তিগত যান এবং মোটর সাইকেল চলতেও দেখা গেছে। অলিগলিতে অনেক দোকান খুলেছে। নগরীর প্রধান প্রধান বাজারগুলোতে গতকালও ছিলো উপচে পড়া ভীড়। এসব বাজারে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।
আজ রোববার ১৮ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে সদর রোড ও বাজার রোড থেকে পুলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কয়েকটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়ে যায় এবং তাদের গ্রেপ্তার বা মামলা না দিয়ে নির্দেশনা মানার অনুরোধ জানিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর রোডের আটককৃত ব্যবসায়ি জানান, সরকারি নিষেধ অমান্য করে দোকান খোলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ নিয়ে যায়, তবে মামলা বা জরিমানা না করে বিকেলে ছেড়ে দেয়।
বরিশাল প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন করোনা সংক্রমণের ভয় আছে কিন্তু উপায় কি বলেন বাঁচতে দোকান খুলে দিতে হবে।
বরিশাল নথুল্লাবাদ এলাকার এক ব্যবসায়ী জানায় ক্রেতা তো আসে, তাই আমরাও বিক্রি করার চেষ্টায় দোকান খুলে পন্য বিক্রি করি।
যদিও লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে নগরীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বরিশালে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট অভিযানে নগরীর কাকলির মোড়, সদর রোড, চকবাজার, বাজার রোড, স্বরোড এবং জেলখানা মোড় এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে আইনশৃংখলা রক্ষায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেন। অভিযান শেষে তারা বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।